শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১১

পেয়াররা গুনাগুন~~~~



আমরা প্রায় সকলে জানি আপেলে ভিটামিন ‘সি’ আছে। আমরা এও জানি যে পেয়ারাতে ভিটামি ‘সি’ আছে। কিন্‌তু আমরা অনেকে জানি না যে এদুটি ফলের কোনটিতে কি পরিমান ভিটামিন ‘সি’ আছে।



খাবার যোগ্য ১০০ গ্রাম আপেলের মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমান ৪০ আই,ইউ আর্ন্তজাতিক একক), এবং একই পরিমান পেয়ারার মধ্যে অর্থাৎ ১০০ গ্রাম খাবার যোগ্য পেয়ারার মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমান ৬০০ আই, ইউ।



আপেলের পরিবর্তে পেয়ারা খেলে আমারা কী পরিমান লাভবান হব তা একটু হিসাব করে দেখা যাক।



এক কেজি আপেলের মূল্য ১২০ টাকা হলে ১০০ গ্রামের আপেলে দাম পড়ে ১২ টাকা। অর্থাৎ ৪০ আই,ইউ (আন্‌তজর্াতিক একক) ভিটামিন ‘সি’ এর মূল্য ১২ টাকা।



এক কেজি পেয়ারার মূল্য ২০ টাকা হলে ১০০ গ্রাম পেয়ারার দাম পড়ে ২ টাকা। অর্থাৎ ৬০০ আই,ইউ (আর্ন্তজাতিক একক) ভিটামিন ‘সি’ এর মূল্য ২ টাকা।



এবার আমরা যদি আপেলের পরিবর্তে পেয়ারা খাই তা হলে-



(অংক কষে দেখা যাক)



পেয়ারার ক্ষেত্রেঃ

২ টাকায় পাই ৬০০ আই,ইউ ভিটামিন ‘সি’

১ টাকায় পাই (৬০০/২=) ৩০০ আই,ইউ ভিটামিন ‘সি’

১২ টাকায় পাই (৩০০*১২=) ৩৬০০ আই,ইউ ভিটামিন ‘সি’



কিন' আপেলের ক্ষেত্রে আমরা আগেই দেখেছি ১২ টাকায় ৪০ আই,ইউ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়।



অর্থাৎ ১০০ গ্রাম আপেল না খেয়ে ঐ পরিমান পেয়ারা খেলে

ভিটামিন ‘সি’ গ্রহণের দিক থেকে পরিমানে (৬০০/৪০=) ১৫ গুন ঠকে যাই।

মূল্যের দিক থেকে (১২/২=) ৬ গুন ঠকে যাই।

তা হলে পেয়ারা না খেয়ে আপেল খেলে আমরা সার্বিকভাবে (১৫*৬=) ৯০ গুন ঠকে যাই।

অর্থাৎ ৯০ টাকার আপেলে যে পরিমান ভিটামিন ‘সি’ পাবো তা আমরা ১ টাকার পেয়ারাতে পাবো।



সত্যি সত্যি এ হিসাবটা সকলের জানা দরকার।

বিদ্রঃ ব্লগার "জাগ্রত চেতনা" এর ব্লগ থেকে নেওয়া।

পানি কি ভাবে আমাদের কিডনি এবং যকৃতের কাজ করে~! আসুন দেখি।




পানি খেলে ক্ষুধা কমে, এটা সবার জানা। আর প্রতিদিন আট গ্লাস করে পানি খেলে কমবে অতিরিক্ত মেদ, কমবে ওজন। এর কারণ হিসেবে গকেষকরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত পানি ছাড়া কিডনি ভালো মতো কাজ চালাতে পারে না। যখন কিডনি তার স্বাভাবিক কাজ গুলো করতে পারে না, তখন এর কিছু কাজ করতে হয় যকৃৎকে। এদিকে যকৃতের কাজ হলো বিপাক ক্রিয়ায় খাদ্য এবং চর্বিগুলো শোষণ করে তা দেহের শক্তিতে রূপান্তরিত করা।



কিন্তু যকৃৎ যদি কিডনির কাজ গুলো করতে থাকে, তাহলে যকৃতের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হবে। অর্থাৎ, যকৃৎ খাদ্য ও চর্বি বিপাকের কাজ ঠিক মতো করতে পারবে না। এরফলে চর্বি গুলো শক্তিতে রূপান্তরিত না হয়ে তা দেহে জমতে থাকবে এবং বাড়বে স্থূলতা।



এই জটিল সমস্যা এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বেশি করে পানি পান করা। এরফলে কিডনি থাকবে সচল, সে করবে তার কাজ এবং যকৃতের কাজেও ঘটবে না কোনো ব্যাঘাত।



কিন্তু, এখন প্রশ্ন হলো কতটুকু পানি প্রতিদিন চায় আমাদের কিডনি? গবেষকরা এর উত্তরও বলে দিয়েছেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস করে পানি পান করতে হবে। এর বেশি পান করলেও কোনো সমস্যা নেই। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং গরমের সময় আট গ্লাস পানির চেয়ে বেশি পান করা অনেক জরুরি।



কারণ, পানি যত বেশি পান করা যাবে দেহের জন্য তা ততই ভালো। পানি ওজন কমানোর পাশাপাশি দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য, চর্ম রোগ, হজম সমস্যা সহ আরো অনেক রোগ। এক কথায় বলা যায, সব রোগের পথ্যই এই পানি।