মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১২

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১১

আমাদের চুলের যত্নে করনিয়।


শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল পরিষ্কার এবং তেল দিলেই চুলের পরিচর্যা হয়ে যায় না। এর জন্য প্রয়োজন সচেতন খাদ্যাভ্যাস। শিকাগোর কয়েকজন নিউট্রিশন এবং হেয়ার এক্সপার্ট সম্প্রতি জানালেন চুলে জন্য উপকারী কিছু খাবারের নাম। খাদ্য তালিকায় যাদের উপস্থিতি চুলকে রাখবে সুস্থ।

মাছ
শুধু ভিটামিন আর পুষ্টি না, মাছ সৌন্দর্য্যবর্ধনেও অনেক উপকারী। তবে এজন্য কাঠখড় পুড়িয়ে মাছ কোথাও মাখতে হবে না। শুধু খেলেই হবে।

আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র অ্যান্ড্রিয়া গিয়ানকোলি বলেন, “বেশি বেশি করে মাছ খেলে, এটা মাথার ত্বককে রাখবে সুস্থ। কারণ, মাছে আছে চুল এবং মাথার ত্বকের জন্য উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এর পাশাপাশি এর সঙ্গে আরো আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন এবং ভিটামিন বি-১২।”

তিনি আরো জানান, দেহে ওমেগা-৩ নামের এই ফ্যাটি এসিডের ঘাটতি দেখা দিলে তা মাথার ত্বককে রুক্ষ করে দেয়। যা চুলের রুক্ষতার জন্যও দায়ী।

সবুজ শাক-সবজি
‘পপাই-দ্য সেইলর ম্যান’ অনেক স্পিনাচ বা সবুজ শাক খেতো। তবুও তার মাথায় চুল ছিল কম। কিন্তু সে তো কার্টুন। সুস্থ চুলের জন্য বেশি করে শাক খেলে চুল নিয়ে চিন্তা কমে যাবে।

সবুজ শাক-সবজি ভিটামিন এ এবং সি’র সবচেয়ে বড় উৎস। এই ভিটামিন এ এবং সি দেহে সিবামের উৎপাদন বাড়ায়। সিবাম হলো মাথার ত্বকের কোষে পুঞ্জীভূত থাকা এক ধরণে উপকারী উপাদান, যা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে।

এছাড়াও সবুজ শাক-সবজি বেশি করে গ্রহনের ফলে দেহে আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রায় বাড়ে।

ডাল
আমাদের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ডাল একটি অতি সাধারণ খাবার। কিন্তু আমরা অনেকে এর গুণাগুণ না জেনেই প্রতিদিন খেয়ে থাকি ডাল। ডালে যে ডালে যে প্রোটিন থাকে তা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

আমেরিকান ডায়েটিত অ্যাসোসিয়েশনের আরেক ডায়েটেশিয়ান ডন জ্যাকসন ব্লান্টার বলেছেন, “আমাদের প্রতিটি চুল মাসে আধা উঞ্চি পর্যন্ত বাড়তে, যদি এদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা যায়।”

ব্লান্টার চুলের এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক কাপ ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, ডালে চুলের উপকারী যেসবেএবং যেড পরিমাণ প্রোটিন থাকে তা শিস, মটরশুঁটির মতো বীজজাতীয় সবজিগুলোতেও থাকে। তাই খাদ্য তালিকায় এই ধরনের সবজিও রাখা যেতে পারে সুস্থ এবং সুন্দর চুলের জন্য।

মুরগির গোশত
প্রোটিন এবং আয়রনের পাশাপাশি মুরগির গোশত মাথার ত্বকের কোষগুলোতে বাতাস এবং অক্সিজেনের চলাচলকে সহজ করে দেয়, যাকে বলে বায়োঅ্যাভেইলেবিলিটি।

দেহে যদি বায়োঅ্যাভেইলেবিলিটি না থাকে তাহলে চুল খুব সহজেই ভেঙে যায় এবং চুলের রঙ বিবর্ণ হয়ে যায়।

ডিম
পছন্দ-অপছন্দের প্রশ্ন তোলা যাবে না! চুলের সঙ্গে করা যাবে না কোনো সমঝোতা। সুস্থ ও সুন্দর চুলের জন্য ডিম অবশ্যই রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। কারণ এতে প্রোটিনের পাশাপাশি আছে ভিটামিন বি-১২ এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বায়োটিন।

দই
চুলের পরিচর্যার জন্য দই মাখা যায় চুলে। কিন্তু এটা নিয়মিত খেতে পারলেও তা চুলের জন্য ভালো। দই থাকা ক্যালসিয়াম, হোওয়ে এবং কেসইন নামের প্রোটিন চুলকে করে মজবুত এবং লম্বা।

গাজর
গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা চুলের ত্বকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্ককেও করে পরিষ্কার। সুন্দর, আকর্ষণীয়, লম্বা চুলের জন্য সুস্থ ত্বক যেমন জরুরি, তেমনি সুস্থ চিন্তা এবং স্থিতিশীল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন পরিষ্কার মস্তিষ্কের।

বার্তা২৪ ডটনেট

শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১১

মেদবিহীন, ছিপছিপে সুন্দর স্বাস্থ্য সবার প্রিয়, যে ভাবে রাখবেন


মেদবিহীন, ছিপছিপে সুন্দর স্বাস্থ্য সবার প্রিয়। আর সবাই চায় নিজের সুগঠিত, সুগড়ন ও কার্যক্ষম শরীর। এই প্রত্যাশা পূরণ সহজ কাজ নয়। রসনার সংযম এবং নিয়মিত শরীর চর্চায় ব্রত শক্ত মনের মানুষই স্বাভাবিক ওজন ও সুস্থ শরীর নিয়ে বেঁচে থাকেন। এজন্য অহেতুক জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এজন্য খুব বেশি প্রচেষ্টা বা জোগাড় যন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না। কতিপয় বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। প্রথমত: মিষ্টি ও ভাজাভূনা খাবেন না। ভাত খাবেন নামমাত্র। দ্বিতীয়ত: প্রতিদিন জীবনযাপনে যাই ঘটুক নিজে নিজে একটু ব্যায়াম করে নেবেন। সেটা হাটা, সাঁতার বা ফ্রি হ্যান্ড যাই আপনার পছন্দ। এ দু’টি হলো জিমে না গিয়ে ওজন কমানোর প্রাথমিক ও অন্যতম শর্ত।

মোটা হওয়ার কারণ:

০০ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত খাওয়া। নিয়ম অনুযায়ী খাবেন

০০ শরীরে খাবারের প্রয়োজন নেই, অথচ ভালো খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছে করে বলে অনেকে সারাদিন খান। এতে শরীরে মেদ জমে

০০ সারাদিন শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ওজন বাড়ে

০০ বংশগত কারণে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। খাবার যখন কম থাকে, জিন শরীরে ফ্যাটের স্টোরেজ বাড়িয়ে দেয়। এরপর খাবার বেশি খেলে এবং শক্তি ক্ষয় কম হলে ওজন বেড়ে যায়

স্বাভাবিক উপায়ে ওজন কমানো:

ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপায় হলো-এমন ডায়েট মেন চলুন যাতে বেশি পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার আছে, মাঝারি পরিমাণে প্রোটিন আছে এবং কম পরিমাণে ফ্যাট আছে। যারা অফিসে যান তারা ব্রেকফাস্টটা খেয়ে দুপুরের খাবার অফিসে যাওয়ার সময় লাঞ্চ হিসেবে নিয়ে যান।

ডায়েট টিপস:

০০ আলু, কুমড়ো, কাঁচা কলা খাবেন না

০০ ছাঁকা তেলে ভাজা কিছু খাবেন না; তা সে বেগুন হোক বা পটল ভাজা হোক

০০ অ্যালকোহল, এনার্জি ড্রিংকস, হেলথ ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস খাবেন না

০০ চিনি একেবারেই খাবেন না, প্রয়োজনে সুইটনার চলতে পারে

০০ গরু, খাসির মাংস ও চিংড়ি মাছ মোটেই খাবেন না

০০ আপনার পছন্দ-অপছন্দের খাবার, বর্তমান খাদ্যাভ্যাস ও বাজেটের ওপর ভিত্তি করে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন

০০ কোন ধরনের কাজের সঙ্গে আপনি যুক্ত তার ওপর নির্ভর করবে আপনার পারফেক্ট ডায়েট

০০ আপনার ডায়েটে যাতে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন

০০ প্রতিদিনের ডায়েটে হোলমিল এবং বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য রাখুন, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, যেমন-হোলহুইট ব্রেড, রাইস, ওটস মিল, হোল মিল পাস্তা, বার্লি, ব্রাউন রাইস খান প্রয়োজন মতো

০০ ওবেসিটি কমিয়ে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে ফল ও শাক সবজি খান

অসময়ে খিদে পেলে করণীয়:

অসময়ে খিদে পেলে হেলদি স্ন্যাক্স খান। লাঞ্চ এবং ডিনারের মাঝে ৩/৪ ঘন্টা পর পর হেলদি স্ন্যাক্স খেতে পারেন। খুব খিদে পেলে শুকনো রুটি বা টোস্ট বিস্কুট খান। ফলও খেতে পারেন। লাউ বা অন্য সবজির রস বা সিদ্ধ শাক সবজি খেতে পারেন। বেশি রাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাবেন।

বাড়িতে ব্যায়াম পদ্ধতি:

০০ বাড়িতে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। এতে সময় একেবারেই কম লাগে। অথচ আপনি ফিট থাকতে পারবেন এবং অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না

০০ বাড়িতে যতো সময় অবস্থান করবেন সেই সময়ে শুয়ে বা বসে না থেকে হাঁটা চলাও যে ব্যায়াম তা অনেকে ভাবেন না। আপনার বাড়িতে যদি সিড়ি থাকে তাহলে কারণে অকারণে দৈনিক কয়েকবার ওঠানামা করতে পারেন। আরো ভালো হয় যদি হালকা জিনিসপত্র বহন করা যায়। এত আপনার মাসল টোনড হবে

০০ বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ব্যায়াম, যেমন- আর্ম স্ট্রেচিং বা লেগ লিফটিং করতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং বিভিন্ন অংশের ফ্যাট ঝরে যায়

০০ হার্ট সুস্থ রাখার জন্য জগিং খুব ভালো ব্যায়াম। বাড়ির যে কোনো জায়গায় আপনি স্পট জগিং করতে পারেন। তবে এ সময় উপযুক্ত জুতো পরবেন, যাতে পায়ের ওপর স্ট্রেস না পড়ে

০০ দু’হাত সোজা করে উপরের দিকে রাখুন। পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে যতোটা পারেন লাফান। কোনো বিরতিছাড়া এভাবে এক মিনিট লাফাবেন। এক মিনিট ব্রেক দিয়ে দিয়ে দুই থেকে তিনবার সাইকলটা রিপিট করুন।

০০ পুশ-আপ্স করতে পারেন। এই ব্যায়াম আবার চেস্ট ও আর্ম মাসলের শক্তি বাড়ায়। মাটির ওপর উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর দুই হাতের সাহায্যে মাটি থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন আপনার হাটুতে ভাজ না পড়ে। শুরুতে ৫ থেকে ১০ টা পুশ আপ্স দেয়ার চেষ্টা করুন। সকালে এক সেট এবং বিকালে এক সেট পুস-আপ্স করতে পারেন।

০০ পেটের মাসলের স্ট্রেংথ বাড়ানোর জন্য সিট-আপস জাতীয় ব্যায়াম করতে পারেন। মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাটু ভাজ করুন। ডান হাত বা কাঁধের ওপর এবং বা হাত ডান কাঁধের ওপর রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে শরীরের ওপরের অংশ মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করুন। মাঝামাঝি অবস্থানে যেতে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। পরে ক্রমশ শোয়া অবস্থায় ফিরে যান। শুরুতে ৩ থেকে ৫টা সিট আপ্স যথেষ্ট হবে।

বিশেষ সতর্কতা:

০০ কোমল পানীয় একেবারেই খাবেন না। কোল্ড ড্রিংস মোটা হওয়ার আশঙ্কা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়

০০ কখনো স্টার্ভেশন ডায়েট করবেন না। এই পদ্ধতিতে দ্রুত রোগা হওয়া গেলেও শরীর প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে নানা সমস্যা দেখা দেয়

০০ রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন

০০ বার বার অল্প করে খাবেন। লাঞ্চ বা ডিনারের সময় অবশ্যই কম খাবেন।

পেয়াজের গুনাগুন


পেঁয়াজ মহৌষধ
পেঁয়াজের বাদামি আবরণ ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। স্পেনের মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগ গবেষণায় দেখেছে, রান্নার সময় আমরা পেঁয়াজের গায়ে লেগে থাকা যে পাতলা বাদামি আবরণ ফেলে দিই তাতে মানবদেহের জন্য উপকারী বিশেষ যৌগ পদার্থ রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, বাদামি আবরণ এবং পেঁয়াজের মোটা খোসাগুলো ফাইবার (আঁশ) এবং ফ্লাভোনয়েড সমৃদ্ধ। পেঁয়াজের ভেতরের নরম অংশগুলো ফ্রাকটুনাস এবং সালফার যৌগ উপাদানে সমৃদ্ধ; যা মানবদেহে রোগ প্রতিরোধের সক্ষমতা বাড়ায়।

গবেষক ভেনেসা বেনিৎজ বলেন, আঁশ জাতীয় খাবার ক্যান্সার প্রতিষেধক। পেঁয়াজের মধ্যে এ গুণটি রয়েছে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের বাদামি আবরণে ফেনোলিক যৌগ রয়েছে। যেমন কুয়েরসেটিক এবং অন্যান্য ফ্লাভোনয়েড রয়েছে। পথ্যগুণ সমৃদ্ধ আবরণের পরের মোটা দুটি খোসাতেও রয়েছে আঁশ এবং ফ্লাভোনয়েড। অন্যান্য আঁশ জাতীয় খাদ্যের মতো পেঁয়াজ খেলে হৃদরোগ, পেটের পীড়া, কোলন ক্যান্সার, স্থূলকায় রোগ এবং ডায়াবেটিসের (ধরন-২) ঝুঁকি হ্রাস পায়। ফেনোলিক যৌগের কারণে হৃৎপিণ্ডে রক্ত বহনকারী ধমনীর (করোনারি) জটিলতা বা রোগমুক্তির জন্য পেঁয়াজ অতুলনীয়। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে দেহের ভেতরকার যে কোনো বিষক্রিয়া থেকে উপশম পাওয়া যায়।

রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১

বাদামের গুনাগুন


রাস্তায় চলতে চলতে, পার্কে বসে, যানজটের অস্বস্তিতে কিংবা অবসরে সময় কাটানোর জন্য বাদাম চিবুতে ভালোই লাগে। দুই, তিন, চার কিংবা পাঁচ টাকার বাদাম পকেটে নিয়ে বা ঠোঙায় ভরে দিলে, খেতে কতক্ষণ। এক ঠোঙা বাদাম, দেখতেই তো খুব সামান্য! কিন্তু এই এক ঠোঙা বাদামের যে কত পুষ্টিগুণ, তা নিয়ে গবেষণার আগে মুখে আরো কয়েকটা বাদাম নিয়ে আয়েশ করে চিবুতে চিবুতে ভাবা যেতে পারে। এতে সময় নষ্ট না, বরং লাভই হবে। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই সব লাভ এবং গুণাগুণগুলো-

· বাদাম হলো ভিটামিন ই’র সবচেযে বড় উৎস। এতে আরো আছে ম্যাঙ্গানিজ এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এইসব উপদান দেহের শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূরে করে।

· আঙ্গুরে এক ধরনের ফেনোলিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। যা হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে আঙ্গুর খাওয়ার কথা ভাবার আগে অনেককেই মাসের বাজেট নিয়ে আগে ভাবতে হয়। কারণ নিয়মিত আঙ্গুরের মতো দামী ফল কেনা এবং খাওয়াটা মধ্যবিত্তদের জন্য একটু কঠিন। কিন্তু তাতে কি! নিয়মিত আঙ্গুর না হোক, বাদাম তো হতে পারে। কারণ, বাদামে সেই ফেনোলিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টই আছে যা আঙ্গুরে থাকে।

· বাদামে আছে মনোআনসেটারেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাটকে বলা হয় ‘গুড ফ্যাট’। দেহের ‘ব্যাড কোলেস্টেরেল’ (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে বলে এই ফ্যাটকে ‘গুড’ বলা হয়। তাই বলা যায়, বাদাম খেলে দেহে বাড়বে ‘গুড ফ্যট’, কমবে ‘ব্যাড কোলেস্টোরেল’।

· ফাইবার পেটকে পরিষ্কার রাখে এবং হজমশক্তিকেও সক্রিয় রাখে। বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।

· নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বাদাম থাকলে কোলন ক্যান্সার আপনার কছেও আসতে পারবে না।

· বয়স যত বাড়ে দাঁত এবং হাড়ের বিভিন্ন সমস্যাও বাড়তে থাকে। ক্ষয় হতে শুরু করে হাড় এবং শখের শুভ্র সুন্দর দাঁত। কিন্তু বাদাম খেলে খুব সহজেই এড়িয়ে চলা যাবে এই সমস্যাগুলো। কারণ বাদামে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আছে। এটা বাত থেকেও আমাদের দূরে রাখে।

কিন্তু এতো সব গুণের মধ্যে মনে রাখতে হবে, যদি বাদামে কারো এ্যালার্জি থাকে তাহলে এর কাছেও ঘেঁষা যাবে না। দূরে থাকতে হবে বাদাম থেকে।
***বার্তা২৪ ডটনেট***

শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১১

পেয়াররা গুনাগুন~~~~



আমরা প্রায় সকলে জানি আপেলে ভিটামিন ‘সি’ আছে। আমরা এও জানি যে পেয়ারাতে ভিটামি ‘সি’ আছে। কিন্‌তু আমরা অনেকে জানি না যে এদুটি ফলের কোনটিতে কি পরিমান ভিটামিন ‘সি’ আছে।



খাবার যোগ্য ১০০ গ্রাম আপেলের মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমান ৪০ আই,ইউ আর্ন্তজাতিক একক), এবং একই পরিমান পেয়ারার মধ্যে অর্থাৎ ১০০ গ্রাম খাবার যোগ্য পেয়ারার মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমান ৬০০ আই, ইউ।



আপেলের পরিবর্তে পেয়ারা খেলে আমারা কী পরিমান লাভবান হব তা একটু হিসাব করে দেখা যাক।



এক কেজি আপেলের মূল্য ১২০ টাকা হলে ১০০ গ্রামের আপেলে দাম পড়ে ১২ টাকা। অর্থাৎ ৪০ আই,ইউ (আন্‌তজর্াতিক একক) ভিটামিন ‘সি’ এর মূল্য ১২ টাকা।



এক কেজি পেয়ারার মূল্য ২০ টাকা হলে ১০০ গ্রাম পেয়ারার দাম পড়ে ২ টাকা। অর্থাৎ ৬০০ আই,ইউ (আর্ন্তজাতিক একক) ভিটামিন ‘সি’ এর মূল্য ২ টাকা।



এবার আমরা যদি আপেলের পরিবর্তে পেয়ারা খাই তা হলে-



(অংক কষে দেখা যাক)



পেয়ারার ক্ষেত্রেঃ

২ টাকায় পাই ৬০০ আই,ইউ ভিটামিন ‘সি’

১ টাকায় পাই (৬০০/২=) ৩০০ আই,ইউ ভিটামিন ‘সি’

১২ টাকায় পাই (৩০০*১২=) ৩৬০০ আই,ইউ ভিটামিন ‘সি’



কিন' আপেলের ক্ষেত্রে আমরা আগেই দেখেছি ১২ টাকায় ৪০ আই,ইউ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়।



অর্থাৎ ১০০ গ্রাম আপেল না খেয়ে ঐ পরিমান পেয়ারা খেলে

ভিটামিন ‘সি’ গ্রহণের দিক থেকে পরিমানে (৬০০/৪০=) ১৫ গুন ঠকে যাই।

মূল্যের দিক থেকে (১২/২=) ৬ গুন ঠকে যাই।

তা হলে পেয়ারা না খেয়ে আপেল খেলে আমরা সার্বিকভাবে (১৫*৬=) ৯০ গুন ঠকে যাই।

অর্থাৎ ৯০ টাকার আপেলে যে পরিমান ভিটামিন ‘সি’ পাবো তা আমরা ১ টাকার পেয়ারাতে পাবো।



সত্যি সত্যি এ হিসাবটা সকলের জানা দরকার।

বিদ্রঃ ব্লগার "জাগ্রত চেতনা" এর ব্লগ থেকে নেওয়া।

পানি কি ভাবে আমাদের কিডনি এবং যকৃতের কাজ করে~! আসুন দেখি।




পানি খেলে ক্ষুধা কমে, এটা সবার জানা। আর প্রতিদিন আট গ্লাস করে পানি খেলে কমবে অতিরিক্ত মেদ, কমবে ওজন। এর কারণ হিসেবে গকেষকরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত পানি ছাড়া কিডনি ভালো মতো কাজ চালাতে পারে না। যখন কিডনি তার স্বাভাবিক কাজ গুলো করতে পারে না, তখন এর কিছু কাজ করতে হয় যকৃৎকে। এদিকে যকৃতের কাজ হলো বিপাক ক্রিয়ায় খাদ্য এবং চর্বিগুলো শোষণ করে তা দেহের শক্তিতে রূপান্তরিত করা।



কিন্তু যকৃৎ যদি কিডনির কাজ গুলো করতে থাকে, তাহলে যকৃতের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হবে। অর্থাৎ, যকৃৎ খাদ্য ও চর্বি বিপাকের কাজ ঠিক মতো করতে পারবে না। এরফলে চর্বি গুলো শক্তিতে রূপান্তরিত না হয়ে তা দেহে জমতে থাকবে এবং বাড়বে স্থূলতা।



এই জটিল সমস্যা এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বেশি করে পানি পান করা। এরফলে কিডনি থাকবে সচল, সে করবে তার কাজ এবং যকৃতের কাজেও ঘটবে না কোনো ব্যাঘাত।



কিন্তু, এখন প্রশ্ন হলো কতটুকু পানি প্রতিদিন চায় আমাদের কিডনি? গবেষকরা এর উত্তরও বলে দিয়েছেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস করে পানি পান করতে হবে। এর বেশি পান করলেও কোনো সমস্যা নেই। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং গরমের সময় আট গ্লাস পানির চেয়ে বেশি পান করা অনেক জরুরি।



কারণ, পানি যত বেশি পান করা যাবে দেহের জন্য তা ততই ভালো। পানি ওজন কমানোর পাশাপাশি দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য, চর্ম রোগ, হজম সমস্যা সহ আরো অনেক রোগ। এক কথায় বলা যায, সব রোগের পথ্যই এই পানি।