রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১

বাদামের গুনাগুন


রাস্তায় চলতে চলতে, পার্কে বসে, যানজটের অস্বস্তিতে কিংবা অবসরে সময় কাটানোর জন্য বাদাম চিবুতে ভালোই লাগে। দুই, তিন, চার কিংবা পাঁচ টাকার বাদাম পকেটে নিয়ে বা ঠোঙায় ভরে দিলে, খেতে কতক্ষণ। এক ঠোঙা বাদাম, দেখতেই তো খুব সামান্য! কিন্তু এই এক ঠোঙা বাদামের যে কত পুষ্টিগুণ, তা নিয়ে গবেষণার আগে মুখে আরো কয়েকটা বাদাম নিয়ে আয়েশ করে চিবুতে চিবুতে ভাবা যেতে পারে। এতে সময় নষ্ট না, বরং লাভই হবে। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই সব লাভ এবং গুণাগুণগুলো-

· বাদাম হলো ভিটামিন ই’র সবচেযে বড় উৎস। এতে আরো আছে ম্যাঙ্গানিজ এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এইসব উপদান দেহের শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূরে করে।

· আঙ্গুরে এক ধরনের ফেনোলিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। যা হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে আঙ্গুর খাওয়ার কথা ভাবার আগে অনেককেই মাসের বাজেট নিয়ে আগে ভাবতে হয়। কারণ নিয়মিত আঙ্গুরের মতো দামী ফল কেনা এবং খাওয়াটা মধ্যবিত্তদের জন্য একটু কঠিন। কিন্তু তাতে কি! নিয়মিত আঙ্গুর না হোক, বাদাম তো হতে পারে। কারণ, বাদামে সেই ফেনোলিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টই আছে যা আঙ্গুরে থাকে।

· বাদামে আছে মনোআনসেটারেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাটকে বলা হয় ‘গুড ফ্যাট’। দেহের ‘ব্যাড কোলেস্টেরেল’ (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে বলে এই ফ্যাটকে ‘গুড’ বলা হয়। তাই বলা যায়, বাদাম খেলে দেহে বাড়বে ‘গুড ফ্যট’, কমবে ‘ব্যাড কোলেস্টোরেল’।

· ফাইবার পেটকে পরিষ্কার রাখে এবং হজমশক্তিকেও সক্রিয় রাখে। বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।

· নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বাদাম থাকলে কোলন ক্যান্সার আপনার কছেও আসতে পারবে না।

· বয়স যত বাড়ে দাঁত এবং হাড়ের বিভিন্ন সমস্যাও বাড়তে থাকে। ক্ষয় হতে শুরু করে হাড় এবং শখের শুভ্র সুন্দর দাঁত। কিন্তু বাদাম খেলে খুব সহজেই এড়িয়ে চলা যাবে এই সমস্যাগুলো। কারণ বাদামে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আছে। এটা বাত থেকেও আমাদের দূরে রাখে।

কিন্তু এতো সব গুণের মধ্যে মনে রাখতে হবে, যদি বাদামে কারো এ্যালার্জি থাকে তাহলে এর কাছেও ঘেঁষা যাবে না। দূরে থাকতে হবে বাদাম থেকে।
***বার্তা২৪ ডটনেট***