সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১১

বয়স নিয়ে ভাবনা , আর-না আর-না



এদানিং আমার মাঝে বয়স নিয়ে কেমন একটা অস্থিরতা কাজ করছে। কেবলে-ই মনে হয় তারুণ্যের উদ্দাম বুঝি আমার কাছ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে, আমি ক্রমেই বয়স্কদের দলে ভিড়ে যাচ্ছি। এক কথায় বার্ধক্য যাকে বলে। "বার্ধক্য" এই শব্দটি মন খারাপ করা একটি শব্দ। শব্দটি কানে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে চোখের সামনে ভেসে ওঠে কুঁচকানো চামড়া আর বয়সের ভারে বাঁকা হতে শুরু করা হাড়গোড়ের থুত্থুড়ে কাঠামোর ছবি। এ ছবি দেখামাত্র মনে হয়, সারা জীবনের কাজের ঘানি টানার ক্লান্তি ও অবশিষ্ট জীবনের অনিশ্চয়তার চাপে পিষ্ট কোনও দুর্ভাগা যেন চোখের সামনে মূর্ত হয়ে উঠেছে_যার মনে কোনও শান্তি নেই, নেই বিন্দুমাত্র সুখ যা তার চোখে-মুখেও ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে যৌবনে কিংবা কৈশোরে আমরা এমন ই ভাবি,অন্যরা কিভাবে ভাবে তা জানিনা, অন্তত আমার বেলায় তাই মনে হয়েছে।
কিন্তু এখন আর সে রকম ভাবার কোন কারণ নেই। কারণ, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে,জীবনের অন্তত অর্ধশত বছর পেরিয়ে আসা কোনও মানুষকে দেখে যাদের মনে এমন চিত্র চিত্রিত হয়, তাদের চিত্রপট নতুন করে সাজানোর সময় এসেছে। গবেষকরা বলেন, বার্ধক্য মানুষকে অসুখী করে না, বরং বার্ধক্যেই মানুষের সুখ শুরু হয়। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে সুখী অনুভব করার প্রবণতা। এটা শুনেতো আমার মনে ভরা বর্ষার পুঠি মাছের পাখায় সদ্য রঙ লাগানোর মত মনে রঙ লেগেছে।
জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, মোটামুটি ৫০ বছর বয়সই হলেই বার্ধক্যের শুরু। এ সময়ে বা এর কাছাকাছিতে বেশির ভাগ মানুষ অবসরে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সারা জীবনের কর্ম-ক্লান্তি ও স্বল্প বা বিনা পেনশনে হঠাৎ এ অবসর, সর্বোপরি বার্ধক্য_সব মিলে এ মানুষদের অসুখী ভাবাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, বুড়োরা অসুখী_বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রচলিত এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। বরং এ বয়সে এসে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভঙ্গি তৈরি হয়। এ সময় তারা সব কিছু সম্পর্কে নতুন করে ও নতুনভাবে ভাবতে পারে। এ ছাড়া দেখা গেছে, অবসর বিষয়টিকে বেশির ভাগ মানুষই বেশ ইতিবাচক-ভাবে গ্রহণ করে এবং তা উপভোগ করে। এ সময়টিকে তারা একেবারেই নিজেদের মতো করে ও নিজেদের জন্য ব্যবহার করতে পারে, যা যুবক বা তরুণ বয়সে সম্ভব ছিল না। ফলে এ সময়টিতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় থাকে।
গবেষক-দলের সদস্য ড. রবার্ট ম্যাককেফরি জানান, পঞ্চাশে মানুষের বার্ধক্য ও নিজেকে সুখী ভাবার প্রবণতা শুরু হয়। ষাট ও সত্তরের কোটায় গিয়ে তা আরও বাড়ে। এ বয়সের মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, ‘আমি অনেক সুখী’, ‘আমি জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট’ বা ‘আমি অতিরিক্ত রকমের সুখী’_এ ধরনের বোধ মানুষ তার বার্ধক্যেই অনুভব করে। অপেক্ষাকৃত কম বয়সের মানুষদের মধ্যে এ ধরনের বোধ বা এর প্রকাশ একেবারেই দুর্লভ।
গবেষকরা জানান, গবেষণায় দেখা গেছে, বার্ধক্যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনার প্রবণতাও বাড়তে থাকে। ফলে সব কিছুকে ভালো চোখে দেখা ও সহজভাবে নেওয়ার ক্ষমতাও তাদের বাড়ে। এতে নিজের অবস্থান সম্পর্কেও তাদের মধ্যে সন্তুষ্টি কাজ করে। এ থেকে মানুষের মস্তিষ্কের কাজ করার ধরনের ওপর আরও তথ্য পাওয়া গেল। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আসলে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর ওপর শরীর-স্বাস্থ্য ও সুখী বা অসুখী হওয়া_অনেক কিছুই নির্ভর করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইতিবাচকতার ওপর জোর দেওয়া। সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল অনলাইন।

স্লিম থাকতে টমেটোর গুন~~~~!!



স্লিম থাকতে টমেটো
ছিপছিপে থাকতে রোজ টমেটো খাওয়া ভালো। টমেটো ভিটামিন-সি ভরপুর। হূিপণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। টমেটো বা টমেটোর জুস খেলে কয়েক সপ্তাহের ভেতর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। হালে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আর একটি তথ্য। তথ্যটি হলো, সম্প্রতি ডেইলি মেল পত্রিকার এক প্রতিবেদনে, টমেটো খেলে বাড়তি ওজন লাঘব হয় বলে দাবি করা হয়েছে। কারণ টমেটোর এমন কিছু যৌগ আছে যেগুলি খিদে বাড়ানোর হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন ঘটায়। খাই খাই ভাবকে
দূরে রাখে। ফলে বাড়তি খাওয়ার ইচ্ছা কমে। যদিও এর পেছনে কোন উপাদান সক্রিয় জানা যায় নি। অনুমান লাইকোশেন, যার জন্য টমোটো লাল দেখায় সেই উপাদানের এখানে ভূমিকা আছে।